logo

বর্তমান বাংলা সংবাদ ব্লগ (Bartamaan)

কাশ ফুলের আগমনী গান

Nov 10, 2018
image

চিত্রসেন বিশ্বাস

মাটিতে একটা দুটো শেফালী ফুল পড়ে থাকা, ভোরবেলা ঘাসের উপর খুব সুক্ষ শিশির বিন্দু আর তোরসা নদীর চরে হাওয়ার তালে তালে সদ‍্য ফুটে ওঠা কাশফুল গুলোর মাথা দোলানো, বুকের মাঝখানে শিরশির করে ওঠে একটি অতি পরিচিত ও প্রতীক্ষিত ছন্দ যা বলে দেয় মা আসছেন। চির আকাঙ্খিত শরৎকালীন মাতৃরূপীনি প্রকৃতির পূজা সংসারের তাবৎ মানুষের বুকে এক অভূতপূর্ব হিল্লোলের সঞ্চার করে মা দুর্গার প্রতি রূপে। পিতৃপক্ষ শেষ হলেই শুরু হয় মাতৃপক্ষ। প্রকৃতি তখন প্রশান্ত করুণাঘন রূপে ধরা দেয় মানুষের কাছে। মানুষ ও তখন প্রকৃতি রুপি দুর্গাপূজায় মেতে ওঠে মনের আকুতিতে। যদিও ওই মানুষই হয়তো কয়েক দিন আগেই প্রকৃতির করাল রোষের শিকার হয়েছে। কোথাও বিধ্বংসী বন্যা ভয়ংকর ভূমিকম্প কোথায় ও আকাশচুম্বী সমুদ্রের জল সুনামি নাম নিয়ে মানুষকে তার করাল গ্রাসে গ্রসিত করেছে। তবুও কেমন যেন একটি নাড়ির টান মনে সেই অদ্ভুত হিল্লোল মা আসছেন।

হবে নাই বা কেন পৃথিবীর তাবৎ জীব জগৎ তো তারই সৃষ্টি। জন্ম নেয় এই প্রকৃতি থেকেই প্রতিপালিত হয় এই প্রকৃতিতেই আবার এই প্রকৃতির বুকেই একদিন চিরনিদ্রায় সমাহিত হয়। বঙ্গদেশে বিগত কয়েক শতাব্দীতে শারদ উৎসব তার রঙে রূপে ভাবে এক মহান উৎকর্ষতায় পৌঁছেছে। যদিও বঙ্গ দেশের বাইরেও মহাদেবীর আরাধনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর সমস্ত দেশেই মহাদেবী কোন না কোন রূপে সুদূর অতীত থেকেই পুজো পেয়ে আসছেন। সসাগরা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মনে হয় দেবীর অদ্ভুত আকর্ষণে আকর্ষিত হয়ে থাকেন।

ডুয়ার্সে মানুষ কেন গোর্খালেন্ড চায় না?

একটি সুন্দর ব্লগের সংগৃহীত অংশ, Nov 10, 2018
image

ডুয়ার্সে এবং তরাই এলাকায় গত দুই বত্সরে কয়েক লক্ষ ভূটান থেকে বিতাড়িত নেপালী এসে জমি জমা কিনে বাড়ী ঘর বানিয়ে বসবাস সুরু করেছে|প্রায় সমস্ত দলের সার্থার্ন্বেষী নেতারা এই নেপালীদের বেআইনী ভাবে রেশন কার্ড,ভোটার লিষ্টে নাম ওঠানো জমি জমা কেনা ইত্যাদি কাজে সহায়্তা করেছেন|তার ফলে এই সব এলাকায় বেআইনী ভাবে বসবাস কারী নেপালীদের সংখ্যা বেড়ে গিযেছে| এই সমস্ত নেপালীদের প্রায় প্রত্যেকেরই নেপালেও বাড়ী ঘর জমি জমা আছে| এই ভাবে উক্ত নেপালী গোস্ঠী দুটি দেশের নাগরিকত্ত ভোগ করছেন|লক্ষ্য করা গেছে গোর্খা লেন্ড আন্দোলনের নামে তরাই ডূয়ার্সে নেপাল থেকেও প্রচুর নেপালী এসে গজমম এর দল ভারী করেছে| এদের সামাজিক আদপকায্দা এবং বেশভুষা তরাই ডূযার্স এর সুপ্রাচীন ঐতিঝ্যে বিষময প্রভাব বিস্তার করছে|

স্থানীয় জন সাধারণ এবং ভুমি পুত্ররা গত দুই বত্সরের ও অধিক কাল থেকে এই সমস্ত কার্যকলাপ লক্ষ্য করছেন|প্রচুর আদিবাসীদের জমি জমা নাম মাত্র দামে এই নেপালীরা কিনে নিয়েছেন|এমনকি বহু যায়্গায সরকারী ভেস্ট লেন্ড স্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের সহায়্তায় এরা কৌশলে দখল করছেন|এই সব নানা কারণে এবং সামান্য অছিলায় বন্ধের নামে বাহির থেকে লোক এনে জন জীবনকে বিপর্য়স্ত করায় স্থানীয় জনসাধারণ বীতশ্রধ্য হয়ে এবং ভূমিচ্যুত হবার ভয়ে কোনো ভাবেই তরাই ডুয়ার্স গোর্খালেন্ড এর আওতা ভূক্ত করতে চাইছেন না| এছাড়া তরাই ডূয়ার্স এর জনতা এও লক্ষ্য করেছেন যে ঘিসিং এর আমলে পাহাড়ের উন্নযনের জন্য যে কয়েক শ কোটি টাকা সরকার দিয়ে ছিলেন,তাতে টাকা তো খরচ হয়ে গিয়েছে কিনতু পাহাড়ের কোন উন্নয়ন না করে পাহাড়ের এই সব তথাকথিত নেতারাই তা আত্মসাত করেছেন|তাই তরাই ডূয়ার্সের উন্নতিকলপে যে টাকা আসে তা যাতে এই নেপালি নেতারা গোর্খালেন্ড এর শাসনের নামে নয়্ছ্য় না করতে পারেন অনেকটা সেই কারনেও তরাই ডূয়ার্সের প্রাচীন বসবাসকারীরা গোর্খালেন্ড চাইছেন না|

আমাদের সম্পর্কে

image

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা, সত্যান্বেশন ও এক মাত্র ঈশ্ব্ররকে ছাড়া অন্য কাউকে ভয় না পাওয়াই আমাদের বৈশিষ্ট|

জনপ্রিয় পোষ্ট

image

image

ফলো করুন (Follow Us)

image

আমাদেরকে ফেসবুকে ফলো করুন(Follow us on Facebook)