Bartamaan
বাংলা সংবাদ

রাজনীতি

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার ছক! তৃণমূলের অনুষ্ঠানে বক্তা প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত

Dec 4, 2018, 09:14 PM IST

Image

আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার উত্তম মঞ্চে হবে এই অনুষ্ঠান। অর্থ, স্বাস্থ্য এবং গনতন্ত্র ও বহুত্ববাদ - এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মোদী সরকারের আর্থিক নীতি, নোটবন্দি সহ নানা ইস্যুর বিরোধিতায় ওপেন ফোরামে আলোচনায় অংশ নেবেন এই ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা

কলকাতায় আসছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। কিন্তু তাঁকে এবার দেখা যাবে তৃণমূলের মঞ্চে। বরিষ্ঠ এই বিজেপি নেতাকেই বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে তত্পর তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের " বাংলার ভাবনা" শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তৃতা রাখবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার উত্তম মঞ্চে হবে এই অনুষ্ঠান। অর্থ, স্বাস্থ্য এবং গনতন্ত্র ও বহুত্ববাদ - এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মোদী সরকারের আর্থিক নীতি, নোটবন্দি সহ নানা ইস্যুর বিরোধিতায় ওপেন ফোরামে আলোচনায় অংশ নেবেন এই ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা। এই আলোচনায় এবং মঞ্চে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। উল্লেখ্য, যশবন্ত সিনহাকে বরাবরই মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। নোটবন্দির পর বিজেপির বিরুদ্ধে আর্থিক নীতির বিরোধিতায় আরও বেশি সরব হয়েছেন যশবন্ত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রকের মন্ত্রীর তৃণমূল মঞ্চে আসায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনটা শোনাও যাচ্ছে ঝড়খণ্ড নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে পারেন তিনি। তৃণমূলের অন্দরে খবর, এ বার ঝড়খণ্ড নির্বাচনে জোর দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলে কি তৃণমূলের হয়ে ঝড়খণ্ডে ব্যাটিং করবেন যশবন্ত সিনহা? এমনটা জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। তৃণমূলের এই মঞ্চে স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন নামী চিকিৎসকরা। গনততন্ত্র- বহুত্ববাদে বাংলার ভাবনা তুলে ধরবেন শীর্ষেন্দু মুখার্জী। জানা যাচ্ছে, ৪২ লোকসভা কেন্দ্রেই হবে এই ধরনের আলোচনা। দর্শকাসনে যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে চলবে ভাবনার আদান প্রদান । আম জনতার থেকে যে পরামর্শ আসবে সেগুলো লিপিবদ্ধ রাখবে তৃণমূল। শুধু মোদী সরকারের ভুল বা জন-বিরোধী নীতির বিরোধিতায় নয়, রাজ্যে তৃণমূল সরকারও কোনো বিষয়ে যদি ভুল করে থাকে, তা আম জনতার কাছে বলার সুযোগ থাকবে। সেই ভুল শুধরে কিভাবে আগামী দিনে আরও ভাল কিছু করা যায়, সেই পরিকল্পানাই করতে চাইছে তৃণমূল। এই আলোচনা থেকে উঠে আসা মূল বিষয়বস্তু জায়গা পাবে তৃণমূলের ইস্তেহারে।

খেলাধূলা

আইপিএলে এবার নতুন নামে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি

Dec 5, 2018, 07:27 AM IST

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১২ তম সংস্করণে এসে নাম বদলে ফেলল দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত ১১ বছর ধরে আইপিএলে খেলা দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নামটি এখন অতীত। ২০১৯ সালের আইপিএল থেকেই নতুন নামে দেখা যাবে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। Dilliwasiyon, say hello to Delhi Capitals!#ThisIsNewDelhi pic.twitter.com/KFW8f3GIP7 — Delhi Capitals (@DelhiCapitals) December 4, 2018 দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নাম বদলে হল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০১৯ সালে আইপিএলে এই নামেই খেলবে তারা। We're all set for new beginnings! Here's the story behind our identity!#ThisIsNewDelhi #DelhiCapitals pic.twitter.com/ElLbQqx8PI — Delhi Capitals (@DelhiCapitals) December 4, 2018 দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম মালিক পার্থ জিন্দাল মঙ্গলবার দলের এই নতুন নামকরণ করেন। শুধু নাম বদলই নয় একই সঙ্গে বদলে গেল দলের লোগো। কিন্তু হঠাত্ করে কেন নাম এবং লোগোতে বদল আনল দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি? যা নিয়ে কিন্তু রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকই মনে করছেন দলের ভাগ্য ফেরাতেই না কি এমন পদক্ষেপ করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। Super proud to announce the new name and new look of the Delhi IPL team - can’t wait to get started - we are building a team all of Delhi will be proud of #ThisIsNewDelhi @DelhiCapitals https://t.co/og8fbKHRYc — Parth Jindal (@ParthJindal11) December 4, 2018 যদি একটু ফিরে তাকানো যায় দিল্লি দলের আইপিএলে পারফরম্যান্সের দিকে তাহলে দেখা যাবে, আইপিএলের প্রথম দুই সংস্করণের সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি। আর ২০১২ সালে প্লে-অফে খেলেছিল। বাকি কোনও বারই হেভিওয়েট দল গড়েও সাফল্য আসেনি। গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি তারা। নাম এবং লোগো বদলে এবার দিল্লির ভাগ্য ফেরে কিনা সেটাই এখন দেখার।

ক্রাইম ও আইন

খুন হওয়ার আগে বাগুইআটির অন্তরা ১০ দিনে এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ৯৭ বার!

Dec 4, 2018, 01:11 PM IST

Image

সঙ্গত, সোমবারই বাগুইআটিকে অর্পিতা সরকার নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্বামী সুরজিত্ সরকার প্রথমে দাবি করেছিলেন, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বাগুইআটিতে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় জড়াল সুরজিত ছাড়াও অন্য একজন পুরুষের নাম। মৃত্যুর আগে শেষ দশ দিনে তার সঙ্গে নিহত গৃহবধূ অন্তরা সরকারের ৯৭ বার ফোনে কথা হয়। ২৮ তারিখ আটটা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে পঞ্চাশ মিনিট কথা বলেন অন্তরা। শেষ কলের পর ওই যুবককে অন্তরার ফোন থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়। ওই যুবক অন্তরার প্রাক্তন সহকর্মী। সুরজিত, অন্তরা ও ওই যুবক তিনজনের একটি সফ্টওয়ারের ব্যবসা ছিল। বাগুইআটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় অন্যতম সাক্ষ্য প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে সুরজিতের পাঞ্চিং কার্ড। জেরায় সুরজিত পুলিসকে জানায় ঘটনার দিন তিনি অফিস গিয়েছিলেন। দাবির সপেক্ষে তিনি জানান, তিনি অফিসের হাজিরা খাতায় সই করেছেন।

এখানেই পুলিসের প্রশ্ন যেখানে এতদিন পাঞ্চিং করে অফিসে ঢুকতেন সুরজিত, সেখানে হাজিরা খাতায় সই কেন ? প্রশ্নে উত্তরে সুরজিতের জবাব পাঞ্চিং কার্ড হারিয়ে যাওয়াতেই সই। আর এটাই ভাবাচ্ছে পুলিসকে , সত্যিই কার্ড হারিয়ে গেছে, না চালাকি করে কার্ড হারানোর গল্প তৈরি করা হচ্ছে। তাই সুরজিত কে নিয়ে পুলিশ তার অফিসে নিয়ে গিয়ে ভেরিফিকেশন করবে । প্রসঙ্গত, সোমবারই বাগুইআটিকে অর্পিতা সরকার নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্বামী সুরজিত্ সরকার প্রথমে দাবি করেছিলেন, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু পুলিসের তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য। সুরজিতের স্ত্রী মৃত অন্তরা সরকারের বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে অন্তরাকে। তাদের অভিযোগ, দাম্পত্য কলহের জেরেই খুন হন অন্তরা। সন্তানহীনতার কারণে অন্তরার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হত। আর সেজন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরে তাদের ফোন করে জানানো হয়, আত্মঘাতী হয়েছে অন্তরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্তানহীনতার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর তারপরই এই ঘটনা। অন্তরার ফোন রেকর্ড খতিয়ে দেখে উঠে আসে আরও এক পুরুষের নাম। এরফলে তদন্তের গতি নেয় অন্যদিকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

বিনোদন

কত সময় ধরে তৈরি হয়েছে প্রিয়াঙ্কার এই লেহেঙ্গা?

Dec 4, 2018, 08:23 PM IST

Image

২ ডিসেম্বর প্রিয়াঙ্কার জীবনে এসেছে সেই শুভক্ষণ। সনাতন হিন্দু রীতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্গা চোপড়া। লাল রঙের সব্যসাচীর ডিজাইন করা লেহেঙ্গা, যেটি ডিজাইন করেছেন বাঙালি ফ্যাশান ডিজাইনার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। গলায় হার, মাথায় টিকলি, নাকে নথ ও হাতে চূড়া পরে এক্কেবারে পারফেক্ট ভারতীয় বধূ রূপে ধরা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আর নিকের পরনে ছিল সব্যসাচীর ডিজাইন করা অফ হোয়াইট রঙের শেরওয়ানি। পায়ে সোনালি রঙের জুতো। ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় প্রিয়াঙ্কার লেহেঙ্গার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন, লেহেঙ্গাটি ফরাসি সিল্কের লাল ক্রিস্টাল লেয়ারে বানানো লেহেঙ্গা। যেখানে রয়েছে অসংখ্যা হাতে তৈরি এমব্রয়ডারি ডিজাইনের ফুল। যেটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৩৭২০ ঘণ্টা। লেহেঙ্গার এমব্রয়ডারি করেছেন ১১০ জন শিল্পী। শুধু লেহেঙ্গাই নয়, প্রিয়াঙ্কা গয়নাও ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। যেটা ২২ ক্যারেট সোনার উপর জাপানি মুক্ত দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্যা হীরে। খানিকটা মুঘল গয়নার আদলে তৈরি হয়েছে এটি।

অন্যদিকে নিকের পরনে ছিল সিল্কের শেরওয়ানি। সঙ্গে এমব্রয়ডারি করা চিকনের দোপাট্টা। গলায় সব্যসাচীর ডিজাইন করা হীরের গয়না। জানা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কার অনুরোধেই ডিজাইনার তাঁর লেহেঙ্গায় মা-বাবা মধু ও অশোক চোপড়ার পাশাপাশি নিক জোনাসের নামও লিখেছেন।